বাংলাদেশের মেগা প্রকল্প সমুহ

বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য প্রধান মেগাপ্রকল্প সমূহ এক নজরে দেখে নিন

প্রকল্প: পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ

প্রকল্পটির অফিসিয়াল নাম- পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প বা Padma Bridge Rail Link Project (PBRLP)।

পদ্মা রেল সেতু সংযোগ প্রকল্প (দৈর্ঘ্য ১৬৯ কিমি) আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় ১০ অক্টোবর ২০২৩।

পদ্মা সেতু দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়- ১ নভেম্বর ২০২৩।

এ রেললাইনের মাধ্যমে ঢাকার সাথে সংযোগ স্থাপন হয়- ৮টি জেলার নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নড়াইল ও যশোর।

অর্থায়ন হয় যে পদ্ধতিতে- জি টু জি পদ্ধতিতে।

২৭ এপ্রিল ২০১৭ চীনা এক্সিম ব্যাংকের সাথে ঋণচুক্তি হয়- ২,৬৬৭.৯৪ মিলিয়ন (মা.ড.) বা প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকার।

নির্মাতা প্রতিষ্ঠান- চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড।

কাজ তদারকি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালটেন্ট (CSC)।

নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়- ১৪ অক্টোবর ২০১৮।

নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ প্রকল্পের মধ্যে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো যে প্রকৃতির রেললাইন প্রবর্তন করবে- এলিভেটেড ভায়াডাক্টে ব্যালাস্টবিহীন রেললাইন (২৩ কিমি)।

এ রেলপথ নির্মাণের ফলে ঢাকা-খুলনার মধ্যকার দূরত্ব কমে যাবে- ২১২.০৫ কিমি।

মূল পদ্মা সেতুতে যে গেজের রেললাইন বসানো হবে-ডাবল গেজ (সিঙ্গেল লাইন)।

প্রকল্প: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু

দেশের সবচেয়ে বড় রেলওয়ে সেতু হবে যেটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু।

যে নদীর ওপর নির্মিত হবে- যমুনা নদী।

দৈর্ঘ্য হবে- ৪.৮০ কিলোমিটার।

নির্মাণ শেষ হবে ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে।

রেলওয়ে সেতুটি যে দুটি জেলাকে সংযুক্ত করবে- টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ।

সেতুটির পূর্বাংশ নির্মাণ করবে যে তিনটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান-

Obayashi Corporation, TOA Corporation এবং JFE

সেতুটির পশ্চিমাংশ নির্মাণ করবে যে দুটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান- IHI এবং SMCC

যা দিয়ে এ সেতুটি নির্মাণ করা হবে- সম্পূর্ণ স্টিল।

রেললাইন যে প্রকৃতির- ডুয়েল গেজ (ডাবল লাইন)।

অর্থায়নে বাংলাদেশ ও জাপান (যৌথভাবে)

পিলার-৫০টি।

স্প্যান- ৪৯টি।

প্রকল্প: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র

বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে প্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়-১৯৬১ সালে।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প অবস্থিত- পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের রূপপুর গ্রামে।

যে নদীর তীরে অবস্থিত- পদ্মা।

পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে যে প্রতিষ্ঠান- নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (NPCBL)।

যেটি দেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রকল্প- রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প। । মোট ব্যয়- ১ লাখ ১৩ হাজার ৯২ কোটি ৯১ লাখ ২৭ হাজার টাকা।

বিদেশি ঋণ- ৯১ হাজার ৪০ কোটি টাকা।

উৎপাদন ক্ষমতা- ২৪০০ মেগাওয়াট (দুটি ইউনিটে)।

নির্মাণ কাজ করছে যে প্রতিষ্ঠান- রাশান ফেডারেশনের স্টেট অ্যাটমিক এনার্জি কর্পোরেশন (রোসাটম)।

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে যে প্রতিষ্ঠান- বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন (BAEC) |

বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠিত হয়- ২০১৩ সালে।

বাংলাদেশ বিশ্ব পরমাণু ক্লাবের ৩৩তম সদস্য।

বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সঞ্চালন লাইন নির্মাণে ভারতের যে ব্যাংক সহযোগিতা দেয়- এক্সিম ব্যাংক।

প্রথম রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল উদ্বোধন- ১০ অক্টোবর ২০২১।

দ্বিতীয় রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল উদ্বোধন- ১৯ অক্টোবর ২০২২।

পারমাণবিক জ্বালানি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান- বাররুস প্রজেক্ট এলসিসি।

বাণিজ্যিক উৎপাদন- ২০২৫ সালে।

প্রকল্প: রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র

অফিসিয়াল নাম- মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট।

বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির তাপ উৎস- কয়লা।

যে নদীর তীরে অবস্থিত- পশুর নদী।

বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির উৎপাদন ক্ষমতা- ১৩২০ মেগাওয়াট।

যতটি ইউনিট রয়েছে ও এর প্রতিটি ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা- ২টি। প্রতিটির ক্ষমতা ৬৬০ মেগাওয়াট।

যে দুটি প্রতিষ্ঠান মিলে BIFPCL কোম্পানিটি গঠন করেছে- বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (PDB) এবং ভারতের ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার করর্পোরেশন (NTPC)।

বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানের নাম- বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.) লি. (BIFPCL)।

পরামর্শক হিসেবে যে প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেওয়া হয়- জার্মানির ফিশনার গ্রুপকে।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও ভারতের ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কোম্পানির মধ্যে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালিকানা যেটুকু সমান (৫০: ৫০)।

রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প ব্যয়- ১৬,০০০ কোটি টাকা।

দেশের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো যে প্রযুক্তিতে নির্মাণ করা হয়েছে- আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি।

আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন- ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২।

প্রকল্প: মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্র

অবস্থান- কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ীতে।

মাতারবাড়ীর পূর্ব দিকে যে নদী কোহেলিয়া নদী।

উৎপাদন ক্ষমতা- ১২০০ মেগাওয়াট।

ঋণ দেবে যে সংস্থা- জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (JICA)।

প্রথম ইউনিটের উদ্বোধন- ১১ নভেম্বর ২০২৩।

বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন- ২০২৪ সালে।

অর্থায়নে বাংলাদেশ ও জাপান (যৌথভাবে)।

নির্মাতা প্রতিষ্ঠান- কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (CPGCBL)।

প্রকল্প: মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর

বাংলাদেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মিত হচ্ছে- মাতারবাড়ী। । মাতারবাড়ী অবস্থিত- কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলায়।

মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে সহায়তাকারী সংস্থা- জাইকা (জাপান)।

মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ বাস্তবায়নকাল- জানুয়ারি ২০২০ থেকে জুন ২০২৬।

বাংলাদেশে প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়- ২০১২ সালে সোনাদিয়ায় (বাতিল)।

মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান- নিপ্পন সিনো কোম্পানি লিমিটেড, জাপান।

মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে ব্যয় ১৭,৭৭৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা। ।

যে বন্দরের অনুকরণে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মিত হচ্ছে- জাপানের কাশিমা ও নিগাতা নামের দুটি বন্দর।

যে উদ্যোগের আওতায় গভীর সমুদ্রবন্দরটি নির্মিত হচ্ছে-The Bay of Bengal Industrial Growth-Belt (BIG-B) Initiative

প্রকল্প: ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

ঢাকার দ্বিতীয় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে- ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (প্রথম: ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে)। ।

দৈর্ঘ্য ২৪ কিলোমিটার।

যে দুটি জেলাকে যুক্ত করবে- ঢাকা ও গাজীপুর।

অর্থায়নে যে দেশ- বাংলাদেশ ও চীন যৌথভাবে।

প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ- জুলাই ২০১৭-জুন ২০২৬ পর্যন্ত।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সাথে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে মিলিত হবে- ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পয়েন্টে।

প্রকল্প: ঢাকা (দেশের প্রথম) এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

মোট দৈর্ঘ্য- সর্বমোট দৈর্ঘ্য ৪৬.৭৩ কিমি (র‍্যাম্পসহ)।

১৫ ডিসেম্বর ২০১৩ যে কোম্পানির সাথে চুক্তি হয় ইতালিয়ান-থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড। ।

নির্মাণে মোট ব্যয়- ৮,৯৪০ কোটি টাকা।

অর্থায়নে রয়েছে- ২৭% বাংলাদেশ সরকার বাকি ৭৩% বিনিয়োগ করবে বিদেশি কোম্পানি।

মূল এলিভেটেড অংশের দৈর্ঘ্য- ১৯.৭৩ কিমি।

র‍্যাম্প বা সংযোগ সড়ক ৩১টি।

র‍্যাম্প বা সংযোগ সড়কের দৈর্ঘ্য- ২৭ কিমি।

নির্বাহক সংস্থা- বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।

মোট লেন হয়- ৪টি।

কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়- ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *