আসসালামু আলাইকুম, আমাদের জীবনে আসলে কতগুলো অভ্যাস খুব দরকার। হ্যাবিট, যেটাকে বলি কিছু হ্যাবিট জীবনের সাথে অঙ্গাঅঙ্গী ভাবে জড়িয়ে ফেলা। যেন এমনভাবে হ্যাবিটগুলো তৈরি করা, সেখান থেকে আমরা কোনভাবেই বের হতে না পারি, এবং এই হ্যাবিট গুলো যদি থাকে আপনার জীবনে ম্যাজিক ঘটবে।
আজকের পোস্টে এরকম ১১ টি হ্যাবিট এর কথা জানাবো। তা আপনার জীবনে প্রতিদিনের একটি অভ্যাসে বা প্রতিদিনের কর্মকান্ডে নিজেকে তৈরি করে ফেলবেন, তাতে যেটা হবে, যে আপনার জীবন বদলে যাবে। আপনি কল্পনা করতে পারবেন না যে আপনি কতটা পরিবর্তন হয়ে গেছেন।
1. Fitness
প্রতিদিন সকালে সন্ধায় যখন পারা যায় ১০-৪৫ মিনিট হাটা অথবা দৌরানো বা ব্যায়াম করা, এটা অভ্যাসে পরিনত করতে হবে। কাজ করতে হলে ফিট থাকতে হবে, এটার কোন বিকল্প নাই।2. সকালে ঘুম থেকে তারাতারি উঠা।
এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, সকালের সময়টাতে মেমোরি খুব ভালো থাকে, সহজেই কোন কিছু আয়ত্ত করা যায়।3. প্রতিদিন অতন্ত ১ পৃষ্ঠা বই পড়া।
একটা আত্নউন্নয়নমূলক বা দক্ষতা বিষয়ক ভিডিও দেখা, দক্ষতা বিষয়টা এমন একটা জিনিস এখানে কোন বয়স নেই, সারাজীবন সময়ের সাথে চলার জন্য আপডেট থাকতেই হবে। সেজন্য ভিডিও দেখা বা ১ পৃষ্ঠা বই পড়া।4. মনোযোগ দিয়ে খাওয়া।
খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়, health অনেক ভালো থাকে। আমরা খাওয়া সময় অনেকে TV দেখি, মোবাইল চালাই, গল্প শুনি, কথা বলি, নানান কর্মকান্ড একসাথে করার চেষ্টা করি। খাওয়া টা একেবারে প্রার্থনা করার মতো করা উচিত, এবং খাওয়ার সময় অনেক বেশি প্রস্তুতি নিয়ে খিদাটা অনুভব করে খাওয়া। পূন্য পেটে কখনও খাবেন না। আমরা অনেক সময় অনেক বেশি খেয়ে ফেলি, এটা উচিত না। এবং খাবারবটা চিবিয়ে খেতে হবে।5. Screen এ সময় কমানো।
social media এ scrolling করতে বসলে আমাদের কোন দিক দিয়ে ১ থেকে ১.৫ ঘন্টা চলে যায়, এটা খুবি ভয়ংকর ব্যাপার। আপনি কোন একটা বিষয় শেখার জন্য ভিডিও দেখেন বা কোন একটা খবর দেখার জন্য ভিডিও দেখেন ১ ঘন্টা বা ২ মিনিট maximum সারাদিনে। আমি শুনি যে আপনারা ৪-৫ ঘন্টা এটা খুবি ভয়ংকর এটা করা যাবে না।6. Positive থাকা।
জীবনে এটা একটা অভ্যাস এর ব্যাপার। যখন দেখবেন Positivity চর্চা শুরু করেছেন, তখন দেখবেন এটা আপনার অভ্যাসে পরিনত হবে আপনার। তখন আপনার বিবেগ জাগ্রত থাকবে। আপনি চাইলেই যে কোন কিছু কাউকে বলে উঠতে পারবেন না। চট করে কাউকে কিছু কোন একটা কমেন্ট লিখে ফেলতে পারবেন না। আপনার বিবেগ বাধা দেবে। সময় নেয়ার ব্যাপার আছে, আপনি যদি সময় নেন জবাব টা বদলে যাবে, সেজন্য পজিটিভ থাকা একটা অভ্যাস, দারুন একটা habit, negative মানুষ থেকে negativity থেকে ১০০ হাত দূরে থাকেন, এরা আপনার জীবনে কোন কাজে আসবে না, So, be positive এটা যদি চর্চা করতে পারেন দূদ্যান্ত হ্যাবিটে পরিনত হবে আপনার লাইফে।7. অন্যকে না ঠোকানো।
অন্যের ক্ষতি হয় এমন কিছু না করা। আপনার মনের মধ্যে ধাক্কা লাগতে হবে, আমি যে কাজটা করছি তার ক্ষতি হচ্ছে নাতো, সে আঘাত পাচ্ছে নাতো। সে ফানান্সিয়ালি কোন ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে নাতো বা তার সম্পর্কের ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে নাতো সো এটা করবেন না। এটাও খুব গুরুক্তপূন্য নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারা।
8. বিনয়ী হওয়া।
মানুষকে সম্নান দিয়ে কথা বলা, ছোটদের আদর দিয়ে কথা বলা। সমবয়সীদের সাথে যতটুকু পারা যায় রেন্সপন্স দিয়ে কথা বলা। Down to the earth. মানুষ যত বড় হয়, যেমন একটি গাছ যত বড় হয় গাছ তত নিচের দিকে ঝুকে। আপনি যত বড় হবেন তত বিনয়ী হবেন। আপনার একটা ব্যাক্তিত্ব তৈরি হবে।
9. কথা দিয়ে কথা রাখা।
এটা একটা মারাত্মক অভ্যাস। কথা দিয়ে কথা রাখা, এই মানুষটা কথা দিয়ে কথা রাখে কারন তার এটা হ্যাবিট। এটা আপনার হ্যাবিট।10. সৎ জীবনযাপন করা।
প্রলোভনে না পড়া, লোভে না পড়া, লালসায় না পড়া এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ হ্যাবিট লাইফের।এই হ্যাবিট গুলো চর্চা করতে পারলে আপনি অনেক ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকবেন। টাকা দরকার আছে কিন্তু অন্যায় ভাবে নয় সৎ ভাবে রোজগার করব। পরিশ্রম করে রোজগার করব।
11. ম্যাজাজ না হারানো।
রাগ, ইগো এইগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারা। এটাও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ একটা হ্যাবিট, চর্চার একটা বিষয়, আপনি যত চর্চা করবেন। কারন ইগোর জন্য জীবনে অনেক কিছু নষ্ট হয়ে গেছে মানুষের। সম্পর্ক নষ্ট হয়ে গেছে, ব্যবসা নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক কিছু সমাজ নষ্ট হয়ে যায়, দেশ নষ্ট হয়ে যায় EGO এর কারনে, এটাকে চাপিয়ে রাখতে হবে। আপনি যদি ম্যাজাজ হাড়ান দেখবেন সব নষ্ট হয়ে গেছে, so মেজাজ হারানো যাবে না।সবচাইতে উত্তম চর্চা হচ্ছে আপনার emotional intelligence টাকে প্রতিদিনের লাইফের হ্যাবিটে নিয়ে আসা, আমি কতটুকু রিয়েক্ট করব, কেন রিয়েক্ট করব, এটা কি দরকার আছে, এটা দেখলে আমার জীবনে যদি মেজাজ খারাপ হয় তাহলে আমার কী কী করা উচিত, নিজের সাথে পরামর্শ করতে হবে। যখন আপনি নিজের সাথে কথা বলতে, পরামর্শ করতে শিখে যাবেন তখন এই হ্যাবিটটা দারুন নিয়ন্ত্রণে আসবে।
যে কোন কাজে লেগে থাকা:
একটা ধরলাম কিছুদিন করলাম ছেড়ে দিলাম, না। কোন একটা কিছু শুরু করবেন চিন্তা ভাবনা করে এবং শেটার শেষ দেখে তারপর ছাড়তে হবে।
So, লেগে থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ, হতাস হয়ে যাচ্ছেন, হাল ছেড়ে দিচ্ছেন, সফল হচ্ছেন না লেগে থাকেন সফল হবেন।
So, লেগে থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ, হতাস হয়ে যাচ্ছেন, হাল ছেড়ে দিচ্ছেন, সফল হচ্ছেন না লেগে থাকেন সফল হবেন।
nice post
ReplyDelete