দুষ্টের অনিষ্ট থেকে বাচতে এই ১০ অপকৌশল শিখে নিন, জীবনে কাজে লাগবে।

Masudur.org
By -
0

 


আপনি আপনার কর্মক্ষেত্তে নিজেকে কখনো আপনার বসের চেয়ে নিজেকে স্মার্ট প্রমান করার চেষ্টা করবেন না।

আমরা আমাদের জীবনে যেসব বড় ভুল করি তা হচ্ছে নিজের অজান্তেই শত্রু তৈরি করি।

Smart ব্যক্তি রা তাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো গোপনে করে থাকেন। তাদের জীবনে কতটা সফল হয়েছেন বা কী কী অর্জন করেছেন তা গুনাঅক্ষরে অপরকে জানতে দেন না।

অন্যকথায়, অপরের মনে এই অনুভূতি সৃষ্টি হতে দেন না যে তারা সবাই তার চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে। তারা কেন এটা করেন।

কারন: মানুষ যখন বুঝতে পারেন যে অমুক তার চেয়ে এগিয়ে আছে তখন তার অজান্তেই তার মধ্যে প্রতিযোগীতা কিংবা ইর্সার অনুভূতি তৈরি হয়। এমনকি তিনি আপনাকে ঘৃনা করা শুরু করে দিতে পারেন। 

তাই আপনার সাফল্য অর্জনগুলো মানুষের সামনে তুলে ধরার পরিবর্তে, যতটা সম্ভব গোপন রাখার চেষ্টা করুন। জীবনের এই একটি ক্ষেত্রে লুকোচুরি নিসন্দেহে আপনার কোন ক্ষতি করবে না। এতে করে আপনার আসেপাসের মানুষগুলো সহজে মিশতে পারবে। এবং আপনার যেকোন প্রয়োজনে তাদেরকে কাছে পাবেন।

কিন্তু আপনি যদি নিজেকে আপনার থেকে পিছিয়ে থাকা অবস্থায় দেখতে পায় তাহলে তারা আপনাকে সাহায্যে করা দূরে থাক আপনার সঙ্গে সহজে মিশতেই চাইবেনা।

যে কৌশলগুলো আপনাকে বললাম, আজকের এই পোস্টে আমরা ১০ টি কৌশন নিয়ে আলোচনা করব: যা অনুশীলন করলে, আমরা যে কোন তর্কে জয়ী হতে, নিজেদের সার্থ হাসিল করতে পারব, আজকে আমরা জানব কোন কৌশল অবলম্বন করলে অন্যরা গায়ে পড়ে,  বিনা কারনে আমাদের কাজ করে দেবে। আপনি বলতে পারেন, আমি এমন দুষ্ট লোক হতে চাই না। তাহলে আপনাকে বলছি, আপনি কৌশল গুলো অত্যন্ত জেনে রাখুন এজন্যে,  যে কোন দুষ্ট লোক যেন এগুলো আপনার উপর প্রয়োগ করতে না পারে।  

masudur.org তে আজকের এই পোস্টে আপনাকে স্বাগতম।

১.কখনও কোথাও নিজেকে অপরের চেয়ে অগ্রগামী হিসেবে তুলে ধরবেন না। 

২. তোমার সামনে কোন অপশন নেই।

যে কোন আলোচনায় বা বিতর্কে আপনি প্রতিপক্ষকে তোমার সামনে কোন অপশন নেই এই কৌশল অবলম্বন করুন। মানুষ যখন দেখে তাদের কাছে একাধিক অপশন নেই, তখন তারা দ্রুত আত্মসমর্পণ করে। আপনি কিছু কাল্পনিক অপশন তুলে ধরুন, এমনভাবে কথা বলুন যেন তারা আপনার ইচ্ছাকে বাস্তবায়ন করতে বাধ্য হয়। 

আলোচনার সময় প্রতিপক্ষের সামনে কতগুলো অপশন তুলে ধরুন, যা আপনার সার্থ রক্ষা করে। আপনি যখন অনেকগুলো অপশন তুলে ধরবেন তখন প্রতিপক্ষের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হওয়ার সম্ভাবনা ৭০% বেড়ে যাবে। যেমন: আপনি যদি বলেন চলো অমুক জায়গায় বেরাতে যাই, তার চেয়ে আপনি যদি বলেন, এই দুই জায়গার কোন জায়গায় বেরাতে যাওয়া যায় বলত।

তখন আপনার প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।প্রতিপক্ষ এখানে ভাবে তাকে বাছাই করার ক্ষমতা এখানে তাকে দেয়া হয়েছে। অথছ, আপনি যে দুটি স্হানের জথা বলেছেন,  দুটিই কিন্ত আপনার পছন্দের। তাহলে কী বঝলেন, আপনার সামনে কেউ যদি একাধিক অপশন তুলে ধরে, তাহলে বুঝে ফেলবেন এগুলো মিথ্যা অপশন হতে পারে। 
সে এসেছে আপনাকে ধোকা দিতে। 

৩. আবেগ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করুন, যুক্তিকে নয়।

যে কোন তর্কে আমরা যে ভুলটি করি, তা হলো আমরা ভাবি আমরা যদি যুক্তিপূন্য কথা বলি তাহলে সবাই আমাদের কথা মেনে নেবে। 

অথচ, সমিক্ষায় দেখা গেছে, মানুষ দৈনন্দিন জীবনে যে সিদ্ধান্ত নেয়,  তার ৮৭% আবেগ তাড়িত। সব সিদ্ধান্ত যুক্তির ভিত্তিতে নেওয়া হয়নি। তাই কাউকে আপনার নিয়ন্ত্রণে আনতে চাইলে, যুক্তিপূর্ণ আচরন বাদ দিয়ে, তার আবেগের জায়গা গুলোতে নক করার চেষ্টা করুন।

৪. গল্প বলে প্রতিপক্ষকে নিজের অনুগত করুন।

আপনি যদি কোন আলোচনায় পরিসংখ্যান তুলে ধরার চেষ্টা করেন। তাহলে অনেকেই ধৈয্য হারিয়ে ফেলবেন। কিন্তু আপনি যদি গল্প বলতে পারেন।

 যেমন: অমুক এই কাজগুলো করে নিজের জীবন পরিবর্তন করে ফেলেছে, তাহলে আপনার বক্তব্য অনেক বেশি গ্রহনযোগ্যতা পাবে। রাজনীতি বিদ ও ব্যবসায়িরা এই পদ্ধতি ব্যপকভাবে ব্যবহার করেন।


Apple brand শুধুমাত্র আপনার কাছে smartphone বিক্রি করে না,  বরং একটি পরিচয় বিক্রি করে। আপনি apple এর পন্য কিনে নিজে ধন্য হন। কারন তারা Apple কে সমৃদ্ধ করে। 

Sports item বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান Nike এর স্লোগান just do it, nike আপনার কাছে product বিক্রি করে না গল্প বিক্রি করে।

সেইসব মানুষের গল্প যারা nike এর sports জুতা জ্যাকেট পড়ে তাদের জীবন বদলে ফেলেছেন। সপ্ন পূরন করেছেন। আপনি এসব মানুষের গল্প ক্রয় করেন।  

nike কখনও বলে না তাদের পন্য কেনা গুরুত্বপূর্ণ,  এসব পন্য কিনলে আপনি উপকৃত হবেন। তারা সুধু বলে এসব প্রোডাক্ট এর পেছনে কী গল্প লুকিয়ে রয়েছে। মানুষ গল্প শোনার পাগল। 

আপনি যদি সুন্দর করে গল্প বলতে পারেন, তাহলে আপনি আপনার চারপাশের মানুষদেরকে কে Fan পরিনত করতে পারেন।

৫. দুই তরফা খেলা।


আপনি অপরের প্রয়োজনকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করুন। আপনি যখন কারও সাহায্যে চাইবেন, তখন সেই সাহায্যে তার নিজের স্বার্থেই করবে। আপনার প্রতি দয়া দেখিয়ে নয়। মানুষ কেবল তাদের কথা শুনে যারা তাদের প্রয়োজনের প্রতি লক্ষ্য রাখার ভান করেন, এবং তাদেররকে সাহায্যে করার আগ্রহ দেখান। 

যে কোন আলোচনায় আপনি যদি আপনার প্রতিপক্ষর প্রয়োজন উপলব্ধি করে তা মিটিয়ে দেয়ার কথা বলতে পারেন,  তাহলে তিনি আপনার প্রতি আকৃষ্ট হবে। 

পারিবারিক একটি বিষয় থেকে তরতাজা একটি উদাহরন দেই,  মনে করুন আপনি পরিবারের কারও সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হয়েছেন। আপনি আপনার বাবা, ভাই স্বামী অথবা স্ত্রী কে conveyance করার চেষ্টা করেছেন।

বিষটি হতে পারে বিদেশ সফর ও বিদেশে স্হায়ী ভাবে বসবাস করা। এসময় আপনি যদি আপনার নিজের প্রয়োজনের কথা বলেন,  তাহলে তারা রাজি হবেন না।

 আপনি যদি তাদের প্রয়োজনের কথাও তুলে ধরতে পারেন, বোঝাতে পারেন বিদেশে গেলে তাদের কী কী লাভ হবে,  তাহলে খেলাটি দুই তরফা হয়ে যাবে। এভাবে তাদের উদ্বেগ কমে আসবে, এবং তারাও বিদেশে যেতে উৎসাহিত হবেন।

এই খেলায় আপনি যদি একজনকে সঙ্গী হিসেবে পেয়ে যান। তাহলে এই দুইজন মিলে   বাকিদের রাজী করাতে আরও সুবিধা হবে। 

৬. কখনো সবাইকে সবকিছু বলে দেয়ার চেষ্টা করবেন না।

আপনি যতটা জানেন, তা সবকিছু বলে বেড়ানোর কোন প্রয়োজন নেই। কমিয়ে বলুন আলোচনায় যদি বোঝাতে পাড়েন, আপনি যা জানেন তা সব বলেননি তারা ভাববে আপনি অনেক কিছু জানেন। এতে সবার মধ্যে আপনার সম্মান ও গ্রহনযোগ্যতা বাড়বে। 

আপনি জ্ঞানি ব্যাক্তি হিসেবে পরিচিতি পাবেন। আপনি যদি সব কথা বলে দেন,  তাহলে অপরের দ্বারা আপনার কথার বিরুদ্ধে বলার ঝুকি  থেকে যায়।

কিন্তু সব কথা না বলে কিছুটা রহস্য নিজের কাছে রেখে দিলে আপনি প্রতিপক্ষের চেয়ে অনেক এগিয়ে থাকবেন। 

৭. যখন প্রয়োজন নেই তখন শুধু শুধু আত্মপক্ষ সমর্থন করতে যাবেন না।

আসামি কে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় পুলিশ একটি interesting technic ব্যবহার করে। তারা সন্দেহ ভাজন ব্যক্তিকে সহজ প্রশ্ন করার পর,  নিজেকে বাচানোর জন্য সহজ উওর না দিয়ে একের পর এক যুক্তি তুলে ধরার চেষ্টা করে,  তখুন পুলিশ বুঝে নেয় এই ব্যক্তি আসলেই কোন অপকর্ম করেছে।

তর্কের ক্ষেত্রে অনেক সমশ আপনি ছোট ছোট হামলার শিকার হতে পারেন। কিন্ত এসব কথা গায়ে মাখানোর দরকার নেই। 

সব কথার জবাব দিতে গেলে কেবল যে আপনার অনেক এনার্জি খরচ হবে তা নয়,  বরং আপনি দূর্বল হিসেবে চিন্হিত হবেন। 

এর পরিবর্তে আপনি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে ভাবুন। যখন আপনি বড় ধরনের আক্রমনের সম্মুখীন হন,  তখন যাতে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে পারে, এজন্য আপনার এনার্জি জমা করে রাখুন।

৮. কখনও সরাসরি আঘাত করবেন না।

তর্কের সময় ডাইরেক্ট এটাক করা হচ্ছে সবচেয়ে বড় ভূল। এতে করে উপস্থিত সবাই আপনাকে সহিংস ও উগ্র বলবে। কিন্তু আপনি যদি পরোক্ষভাবে হামলা করেন তাহলে  প্রতিপক্ষ সরাসরি বুঝতে পারবে না,  আপনি কাকে টার্গেট করেছেন। 

ফলে সে জবাব দিতে পারবে না,  জবাব দিতে গেলে ধরা পড়ে যাবে। কারন আপনি কথাটা অন্য কাউকে উদ্দেশ্য করে বলে থাকতে পারেন। সে যখন গায়ে মাখিয়েছে,  সেজন্য সে দশি। 

উদাহরন দিচ্ছি,  ধরুন আপনার একটা জিনিস চুরি হয়েছে। এবং আপনি আপনার চারপাশে থাকা কয়েক ব্যক্তির মধ্যে থাকা একজনকে সন্দেহ করছেন, এ অবস্হায় সবাইকে চুরির বিষয়টি বলুন এবং যাকে সন্দেহ করছেন তার একটি বৈশিষ্ট্য তুলে ধরে বলুন চোরদের এরকম বৈশিষ্ট্য হয়।

তখন সে যদি সত্যিই চুরি করে থাকে তাহলে প্রতিকৃয়া জানাবে। এবং সবার সামনে ধরা পড়ে যাবে। কিন্তু আপনি direct তাকে attack করে এই ফল পেতেন না।

একজন অভিজ্ঞ সেনা কমান্ডার বলেছিলেন,  সেই কমান্ডার প্রকৃত বিজয়ী,  যিনি যুদ্ধ না করেই প্রতিপক্ষকে পরাজিত করতে পারেন। 

৯. ভ্রুক্ষেপ না করা প্রতিশোধ গ্রহনের সর্বোৎকৃষ্ট পন্হা।

আপনার শত্রুর প্রতি ভ্রুক্ষেপ না করা এবং তাকে অপেক্ষা করানো অনেক সময় প্রতওশোধ গ্রহনের শ্রেষ্ট উপায় হতে পারে। 

বিশেষ করে যদি কোন আর্ডায় এ ঘটনা ঘটে,  তাহলে নিজের ব্যক্তিত্ব কে দিয়ে নিজের ঘটনাকে দিয়ে ধরাশয়ী করতে পারেন।

সে আপনার বিরুদ্ধে বাজে বকে যাচ্ছে অথচ আপনি চুপ করে আছেন। এটি দেখে তার রাগ আরও বেড়ে যাবে। এবং ক্রোধে উম্মুক্ত হয়ে উঠবে। এর মাধ্যমে তার কথাগুলো কতটা তুচ্ছ এটি আপনি প্রমান করলেন। 

আপনি যদি কখনও দেখেন আপনার প্রতিপক্ষ  এই কৌশল ব্যবহার করে আপনাকে প্রতারিত করতে চায়,  তখন আপনি তাকে একেবারেই পাত্তা দেবেন না। 

আপনি যদি দেখেন কেউ সবার সামনে আপনাকে ক্ষুব্ধ প্রতিকৃয়া জানাতে বাধ্য করতে চায় তখন আপনি কঠোর থাকুন, এবং নিজেকে ধরে রাখুন। বিন্দুমাত্ত বিচলিত হবেন না। প্রতিকৃয়া দেখাবেন না। তাহলে কিন্তু আপনি হেড়ে যাবেন।

এ অবস্থায় উপস্হিত সবাই আপনার মানসিক দৃঢ়তার প্রশংসা সবাই  করতে বাধ্য হবে। 

১০. প্রতিপক্ষের দূর্বলতাগুলো খুজে বের করুন।

আপনি যদি প্রতিপক্ষকে নিজের নিয়ন্ত্রণে আনতে চান তাহলে তার দুর্বল দিকগুলোতে চিন্হিত করতে হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের নেতাদের সঙ্গে বিতর্কের সময় এই পদ্ধতিই ব্যবহার করেন। তিনি প্রতিপক্ষের দূর্বল জায়তা চিন্হিত করে আঘাত করেন,  যার কারনে প্রতিপক্ষ উত্তেজিত হয়। এবং তর্কে হেড়ে যায়। 

আপবি যদি তর্কের সময় প্রতিপক্ষকে উত্তেজিত করে মাথা ঠান্ডা রাখতে পারেন তাহলে আপনার বিজয় নিশ্চিন্ত।

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)